নৈতিকতা ও যুক্তিবুদ্ধি
মানবিক স্বাধীনতার ধারনা ও নীতিভাবনা অচ্ছেদ্য। শত পরিবর্তন সত্ত্বেও নীতিক ইতিহাসের গতিধারায় সংযুক্ত রয়েছে স্বাধীনতার শক্তিমন্ত্র।পদার্থবিদ্যার যেমন স্হান ও সংখ্যা, নীতিবিদ্যার তেমন স্বাধীনতা। যুক্তি স্হান ও সংখ্যাতত্ব ভালই বোঝে কিন্তু স্বাধীনতাকে বুঝতে চায় না। এখানেই যুক্তি ও নীতির মধ্যেকার পার্থক্য।
যুক্তির কাজ হল প্রকৃতি, যান্ত্রিকতা ও গনিততত্ত্ব আবিষ্কার করা্, অন্যকথায় নিজেকেই সকল কিছুর মধ্যে খুঁজে ফেরা। সে কারনে যুক্তি সব সময় নিজেতেই নিমজ্জিত - প্রকৃতিতেও সে যুক্তি ছাড়া কিছুই দেখে না। এজন্য কতক নৈতিক তত্বে যুক্তিবিন্যাসকে গ্রহন করার ফলে তাদের উপসংহার এ রকম- যা ভলতেয়ার তার বিখ্যাত reduction ad absurdum ( স্বার্থের কারনেই স্বীয় জীবন উৎসর্গ করা) তত্বটি প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করে।
যুক্তিবুদ্ধি দ্বারা নৈতিকতার বিশ্লেষণের অর্থ নৈতিকতাকে প্রকৃতি , স্বার্থপরতা ও স্বার্থমূলক নীতিবাদে ( egoism) হ্রাস করা। যুক্তি প্রকৃতিতে যেমন আবিষ্কার করে কার্যকারনতা, তেমনি মানুষের মধ্যেও প্রকৃতিকে খুঁজতে চায়- যা আল্লাহকে হ্রাস করে ‘আদি কারনে’ (Immovable mover), আত্মাকে হ্রাস করে মনস্তত্বে এবং শিল্পকে টেকনিকে। নীতিকে যুক্তির রাজ্যে ধরে আনার চেষ্টা তথাকথিত সামাজিক নৈতিকতারই প্রকল্প বিশেষ যা প্রযোজ্য শুধু কৃত্রিমভাবে গঠিত কোন সমাজ ও তার সদ্যস্যদের ক্ষেত্রে।
যুক্তি যা পারে তা হল বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ককে পরীক্ষণ ও সনাক্তকরণ, কোন কিছুর নৈতিক মূল্য নিরুপনে সে অপারগ। যুক্তি ও প্রকৃতি সঠিক ও ভুল, ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করে না
একজন সৎ মানুষ সর্বদা সুখী এবং একজন অসৎ অসুখী- এই বিখ্যাত নৈতিক সূত্র বৌদ্ধিক পদ্ধতিতে বোঝা যাবে না। ইসলামী নীতিতত্ত্ব বৈজ্ঞানিক শিক্ষা নয়, এর সকল দাবি তৌহিদ থেকে প্রবাহিত- যিনি আল্লাহ। ফরাসি বিপ্লবের তিন বিখ্যাত মন্ত্র -সাম্য, স্বাধীনতা ও সৌভ্রাতৃত্ব - এগুলো বিজ্ঞান থেকে আসতে পারে না। বিজ্ঞান বরং এর স্বভাব অনুযায়ী বিপরীত নীতি প্রতিষ্ঠা করবে- মানুষকে চূড়ান্ত সামাজিক কানুন উপহার দেওয়া ও সমাজকে কতক সুআয়োজিত ইউনিটে বিভক্ত করার মাধ্যমে, যেখানে বিরাজ করবে বিজ্ঞানভিত্তিক বিচ্ছিন্নতা ও ব্যক্তীত্বহীনতা।
লা মিজারেবেলের জাঁ ভালজা যে নৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজ্ঞানের আশ্রয়ে সমাধানযোগ্য ছিল না।একজন সরল ও সাধারন মানুষকে বাঁচানোর জন্যে অনান্য অনেক মানুষের স্বার্থকে উপেক্ষা করা কি উচিত হয়েছে জাঁ ভালজার? নৈতিকতা বলবে, ‘হাঁ’, বিজ্ঞান বলবে , ‘না’। কারন বজ্ঞান বেছে নিয়েছে তথাকথিত গণস্বার্থের দিকটি। তা একজন মানুষের জন্যে আরেকজন মানুষের ব্যক্তিগত মর্মবেদনাকে কখনো বুঝতে পারবে না। জাঁ ভালজার সিদ্ধান্তটি যুক্তিবুদ্ধির পরাজয়কে এবং মানুষের তথা নৈতিকতার বিজয়কে নির্দেশ করে। এ বিজয় যুক্তির অনধিগম্য, কিন্তু সকল মানব হৃদয়ের নীরব সম্মতিতে উদ্ভাসিত।
নৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যুক্তিবুদ্ধি কি করতে পারে সে প্রশ্নের উত্তরে ডেভিড হিউম বলেছেন,
“মনস্তত্ব অনুযায়ী একটি অপরাধ প্রদত্ত পরিস্হিতিতে একজন মানুষের সাথে সম্পর্কিত কতক উদ্দেশ্য, চিন্তা ও ক্রিয়ার সমন্বয় ব্যতিত কিছুই নয়। সেক্ষেত্রে আমরা এই সম্পর্কের প্রকৃতি, কাজটির উৎস প্রভৃতি ব্যাখ্যা করতে পারি। কিন্তু যদি আমরা আমাদের আবেগকে কথা বলতে দেই, তাহলে তা সমস্ত ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণকে অতিক্রম করে বলে উঠবে যে, কাজটি অন্যায় বা ক্ষতিকর। কিংবা “আমাদের মন শুধু বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্কের প্রকাশ ও উপস্থাপনে সমর্থ। অপরদিকে মূল্যবোধক বিবেচনায় সম্পূর্ন নতুন চিত্র জেগে ওঠে, যোক্তিক বিচারে যার ঠিকানা মেলে না। তা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে শুধু অনুভূতির সৃষ্টিশীল ক্ষমতা দ্বারা”
Francis Hutcheson এর ভাষায় “নৈতিকতা বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল নয় ; এরা স্বত:স্ফূর্ত ও তাৎক্ষনিক।” ( System of Moral Philosophy, Vol. 1 Part 6)।
বিজ্ঞান ও নীতির মধ্যেকার পার্থক্য আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেও প্রতিফলিত। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞানের নিকট টেষ্টটিউব শিশুর জন্যে কৃত্তিম প্রজনন কিংবা করুণামৃত্যু ( euthanasia) স্বাভাবিক। কিন্তু মানব জীবনের মৌল সূত্রকেই বিকৃত করে বলে এগুলো নৈতিকতার নিকট অগ্রহণযোগ্য । এ ব্যাপারে নীতি, ধর্ম ও শিল্প -সকলের একই দৃষ্টিভঙ্গি, যদিও ব্যাখ্যাভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন। ধর্ম কৃত্তিম জীবন বা কৃত্তিম মরন গ্রহন করতে পারে না। কারন জীবন ও মৃত্যুর একমাত্র সুযোগ্য নির্ধারক হলেন সৃষ্টিকর্তা, মানুষ নয়। নীতির দৃষ্টিকোন থেকে এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ যেহেতু তা মানুষকে নিছক বস্তুতে হ্রাস করে। আর শিল্পীর নিকট জন্ম ও মৃত্যু হল এক প্রকার রহস্য যা রহস্যময় থাকাই বাঞ্ছনীয় । হ্যামলেটের স্বগতোক্তি মৃত্যুর প্রতি উৎসর্গিত ;
১) “O that this too too solid flesh would melt,
Thaw, and resolve itself into a dew!... (Act 1, Scene 2)”
২) O all you host of heaven! O earth! what else?
And shall I couple hell? O, fie! — Hold, my heart... (Act 1, Scene 5)
কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে মৃত্যু অতি তুচ্ছ ও অপ্রচলিত একটি পদার্থিক-রাসায়নিক ঘটনামাত্র।
বিজ্ঞানের যা কিছু আবিস্কার সে বিষয়ে বিজ্ঞানের পক্ষ থেকে সমালোচনা বা বিতর্ক নেই। তাহলে কিভাবে বিজ্ঞান স্বীয় অপব্যবহারকে উপলব্ধি করবে? The French Academy of Moral and Political Science যখন বিবৃতি দেয়, “ কৃত্তিম মানব প্রজনন বিবাহ, পরিবার ও সমাজের মৌল ধারার বিরুদ্ধে এক অপরাধ” তখন তা অবৈজ্ঞানিক বিবৃতি।
বায়োলজি মানুষকে প্রগতি দিয়েছে, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে তার মূল্য।স্বাভাবিক যে একজন ধার্মিক, কবি বা শিল্পী, প্রগতি সম্পর্কে একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করবেন । ধার্মিকদের কাছে এটা শয়তানী প্রকৃতিবাদ , কাব্যিক মননে, পরিকল্পিত নিষ্ঠুরতার আয়োজন।
বিজ্ঞানের উন্নতি যতই আকাশচুম্বী হোক না কেন , নৈতিকতা ও ধর্মকে অপ্য়োজনীয় প্রতিপন্ন করতে কিংবা জীবনের পাঠশালায় মূলবোধের ক্লাস নিতে সক্ষম হবে না কখনো; ধর্মসংযোগহীন বিজ্ঞানের নিকট জীবন অবোধগম্যই থেকে যাবে। ধর্ম অন্যতর জগত বিষয়ক জ্ঞান, নৈতিকতা তারই অর্থবাহক।
যুক্তির কাজ হল প্রকৃতি, যান্ত্রিকতা ও গনিততত্ত্ব আবিষ্কার করা্, অন্যকথায় নিজেকেই সকল কিছুর মধ্যে খুঁজে ফেরা। সে কারনে যুক্তি সব সময় নিজেতেই নিমজ্জিত - প্রকৃতিতেও সে যুক্তি ছাড়া কিছুই দেখে না। এজন্য কতক নৈতিক তত্বে যুক্তিবিন্যাসকে গ্রহন করার ফলে তাদের উপসংহার এ রকম- যা ভলতেয়ার তার বিখ্যাত reduction ad absurdum ( স্বার্থের কারনেই স্বীয় জীবন উৎসর্গ করা) তত্বটি প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করে।
যুক্তিবুদ্ধি দ্বারা নৈতিকতার বিশ্লেষণের অর্থ নৈতিকতাকে প্রকৃতি , স্বার্থপরতা ও স্বার্থমূলক নীতিবাদে ( egoism) হ্রাস করা। যুক্তি প্রকৃতিতে যেমন আবিষ্কার করে কার্যকারনতা, তেমনি মানুষের মধ্যেও প্রকৃতিকে খুঁজতে চায়- যা আল্লাহকে হ্রাস করে ‘আদি কারনে’ (Immovable mover), আত্মাকে হ্রাস করে মনস্তত্বে এবং শিল্পকে টেকনিকে। নীতিকে যুক্তির রাজ্যে ধরে আনার চেষ্টা তথাকথিত সামাজিক নৈতিকতারই প্রকল্প বিশেষ যা প্রযোজ্য শুধু কৃত্রিমভাবে গঠিত কোন সমাজ ও তার সদ্যস্যদের ক্ষেত্রে।
যুক্তি যা পারে তা হল বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ককে পরীক্ষণ ও সনাক্তকরণ, কোন কিছুর নৈতিক মূল্য নিরুপনে সে অপারগ। যুক্তি ও প্রকৃতি সঠিক ও ভুল, ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করে না
একজন সৎ মানুষ সর্বদা সুখী এবং একজন অসৎ অসুখী- এই বিখ্যাত নৈতিক সূত্র বৌদ্ধিক পদ্ধতিতে বোঝা যাবে না। ইসলামী নীতিতত্ত্ব বৈজ্ঞানিক শিক্ষা নয়, এর সকল দাবি তৌহিদ থেকে প্রবাহিত- যিনি আল্লাহ। ফরাসি বিপ্লবের তিন বিখ্যাত মন্ত্র -সাম্য, স্বাধীনতা ও সৌভ্রাতৃত্ব - এগুলো বিজ্ঞান থেকে আসতে পারে না। বিজ্ঞান বরং এর স্বভাব অনুযায়ী বিপরীত নীতি প্রতিষ্ঠা করবে- মানুষকে চূড়ান্ত সামাজিক কানুন উপহার দেওয়া ও সমাজকে কতক সুআয়োজিত ইউনিটে বিভক্ত করার মাধ্যমে, যেখানে বিরাজ করবে বিজ্ঞানভিত্তিক বিচ্ছিন্নতা ও ব্যক্তীত্বহীনতা।
লা মিজারেবেলের জাঁ ভালজা যে নৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজ্ঞানের আশ্রয়ে সমাধানযোগ্য ছিল না।একজন সরল ও সাধারন মানুষকে বাঁচানোর জন্যে অনান্য অনেক মানুষের স্বার্থকে উপেক্ষা করা কি উচিত হয়েছে জাঁ ভালজার? নৈতিকতা বলবে, ‘হাঁ’, বিজ্ঞান বলবে , ‘না’। কারন বজ্ঞান বেছে নিয়েছে তথাকথিত গণস্বার্থের দিকটি। তা একজন মানুষের জন্যে আরেকজন মানুষের ব্যক্তিগত মর্মবেদনাকে কখনো বুঝতে পারবে না। জাঁ ভালজার সিদ্ধান্তটি যুক্তিবুদ্ধির পরাজয়কে এবং মানুষের তথা নৈতিকতার বিজয়কে নির্দেশ করে। এ বিজয় যুক্তির অনধিগম্য, কিন্তু সকল মানব হৃদয়ের নীরব সম্মতিতে উদ্ভাসিত।
নৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যুক্তিবুদ্ধি কি করতে পারে সে প্রশ্নের উত্তরে ডেভিড হিউম বলেছেন,
“মনস্তত্ব অনুযায়ী একটি অপরাধ প্রদত্ত পরিস্হিতিতে একজন মানুষের সাথে সম্পর্কিত কতক উদ্দেশ্য, চিন্তা ও ক্রিয়ার সমন্বয় ব্যতিত কিছুই নয়। সেক্ষেত্রে আমরা এই সম্পর্কের প্রকৃতি, কাজটির উৎস প্রভৃতি ব্যাখ্যা করতে পারি। কিন্তু যদি আমরা আমাদের আবেগকে কথা বলতে দেই, তাহলে তা সমস্ত ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণকে অতিক্রম করে বলে উঠবে যে, কাজটি অন্যায় বা ক্ষতিকর। কিংবা “আমাদের মন শুধু বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্কের প্রকাশ ও উপস্থাপনে সমর্থ। অপরদিকে মূল্যবোধক বিবেচনায় সম্পূর্ন নতুন চিত্র জেগে ওঠে, যোক্তিক বিচারে যার ঠিকানা মেলে না। তা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে শুধু অনুভূতির সৃষ্টিশীল ক্ষমতা দ্বারা”
Francis Hutcheson এর ভাষায় “নৈতিকতা বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল নয় ; এরা স্বত:স্ফূর্ত ও তাৎক্ষনিক।” ( System of Moral Philosophy, Vol. 1 Part 6)।
বিজ্ঞান ও নীতির মধ্যেকার পার্থক্য আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেও প্রতিফলিত। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞানের নিকট টেষ্টটিউব শিশুর জন্যে কৃত্তিম প্রজনন কিংবা করুণামৃত্যু ( euthanasia) স্বাভাবিক। কিন্তু মানব জীবনের মৌল সূত্রকেই বিকৃত করে বলে এগুলো নৈতিকতার নিকট অগ্রহণযোগ্য । এ ব্যাপারে নীতি, ধর্ম ও শিল্প -সকলের একই দৃষ্টিভঙ্গি, যদিও ব্যাখ্যাভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন। ধর্ম কৃত্তিম জীবন বা কৃত্তিম মরন গ্রহন করতে পারে না। কারন জীবন ও মৃত্যুর একমাত্র সুযোগ্য নির্ধারক হলেন সৃষ্টিকর্তা, মানুষ নয়। নীতির দৃষ্টিকোন থেকে এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ যেহেতু তা মানুষকে নিছক বস্তুতে হ্রাস করে। আর শিল্পীর নিকট জন্ম ও মৃত্যু হল এক প্রকার রহস্য যা রহস্যময় থাকাই বাঞ্ছনীয় । হ্যামলেটের স্বগতোক্তি মৃত্যুর প্রতি উৎসর্গিত ;
১) “O that this too too solid flesh would melt,
Thaw, and resolve itself into a dew!... (Act 1, Scene 2)”
২) O all you host of heaven! O earth! what else?
And shall I couple hell? O, fie! — Hold, my heart... (Act 1, Scene 5)
কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে মৃত্যু অতি তুচ্ছ ও অপ্রচলিত একটি পদার্থিক-রাসায়নিক ঘটনামাত্র।
বিজ্ঞানের যা কিছু আবিস্কার সে বিষয়ে বিজ্ঞানের পক্ষ থেকে সমালোচনা বা বিতর্ক নেই। তাহলে কিভাবে বিজ্ঞান স্বীয় অপব্যবহারকে উপলব্ধি করবে? The French Academy of Moral and Political Science যখন বিবৃতি দেয়, “ কৃত্তিম মানব প্রজনন বিবাহ, পরিবার ও সমাজের মৌল ধারার বিরুদ্ধে এক অপরাধ” তখন তা অবৈজ্ঞানিক বিবৃতি।
বায়োলজি মানুষকে প্রগতি দিয়েছে, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে তার মূল্য।স্বাভাবিক যে একজন ধার্মিক, কবি বা শিল্পী, প্রগতি সম্পর্কে একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করবেন । ধার্মিকদের কাছে এটা শয়তানী প্রকৃতিবাদ , কাব্যিক মননে, পরিকল্পিত নিষ্ঠুরতার আয়োজন।
বিজ্ঞানের উন্নতি যতই আকাশচুম্বী হোক না কেন , নৈতিকতা ও ধর্মকে অপ্য়োজনীয় প্রতিপন্ন করতে কিংবা জীবনের পাঠশালায় মূলবোধের ক্লাস নিতে সক্ষম হবে না কখনো; ধর্মসংযোগহীন বিজ্ঞানের নিকট জীবন অবোধগম্যই থেকে যাবে। ধর্ম অন্যতর জগত বিষয়ক জ্ঞান, নৈতিকতা তারই অর্থবাহক।
Comments
Post a Comment