ঈদ-উল-আযহার গুরুত্ব
ইসলামে ঈদ-উল-আযহা মূলত সাঈদনা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের ত্যাগ থেকে শুরু হয়েছে। ঈদ-উল-আযহার গূঢ়ার্ধ ইবরাহীম আলাইহিস সালামের আল্লাহর নিকট তাঁর আত্মসর্মপন , তদানুযায়ী আল্লাহর আদেশের প্রতিনিজেকে সোর্পদ করা তথা আল্লাহর নির্দেশিকার প্রতি অবিচলতার প্রতি নিহিত।
এই আল্লাহতায়াল নৈকট্য লাভের দৃষ্টান্তের মাঝেই ইসলামের মূল নির্যাস নিহিত। ঈদ-উল-আযার প্রকৃতার্থতা। ঈদ-উল-আযহা এর message টি বুঝতে হলে মুসলমানদের অবশ্যই সাঈদনা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের আধ্যাত্মিক নিষ্ঠা কে অনুধাবন করতে হবে অন্তর দিয়ে।
আল্লাহ তায়ালা তাঁকে খলিল হিসাবে গ্রহন করেছেন যার অর্থ 'আল্লাহর বন্ধু'।
আল কোরানের সূরা আন-নাস এর ১২৫ নং আয়াতটি পর্যালোচনা করলেই ঈদুল আযহার সূর ব্যান্জনা অনুভব করা সহজ হয়ে যাবে। আসুন আমরা পড়ি এবং আয়াতটি বুঝতে চেষ্টা করি।
" যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (৪:১২৫)।
এই আয়াতটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আমাদেরকে অনুধাবন করতে হবে যার ব্যাপকতা আমাদের ইমানের অবকাঠামো।
১) “যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার?”
এখানে ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম নীজেকে আল্লাহর প্রতি তথা খুদিকে কতটুকু আল্লাহর প্রতি উৎসর্গ করেছেন আল্লাহতায়ালা স্বয়ং তার জলন্ত সাক্ষ্য দিচ্ছেন আর সেই আত্মসর্মপনের গভীরতার প্রতি সকলের দৃষিট আকর্ষন করছেন। আমরা জানি ইসলামের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে শান্তি কিন্তু ইসলামের অন্তর্নিহিত অর্থ হলো আল্লাহর ইচ্ছার নিকট আমাদের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, সম্পূর্ন রুপে আত্মসমর্পণ করা। যারা আল্লাহর ইচ্ছায় নিজেদেরকে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে, তারাই মুসলমান। আমরা যা কিছু করি বা আকাঙ্ক্ষা করি বা মনে করি সকল কিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এটাই ইসলামের মূল বক্তব্য।
আল্লাহ তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণের একটি সূচক মাত্রা হিসাবে ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে দিয়ে সমগ্র মানব জাতিকে শীক্ষা দিচ্ছেন। মানুষকে কতটুকু মাত্রায় আল্লাহ প্রতি নিজেকে আত্মসমর্পনের ইমান থাকতে হবে তার তার উদাহরণ ইব্রাহীমের আলাইহিস সাল্লামের অত্মত্যাগ যা এই ঈদুল আযহা।
আল্লাহ আমাদের দেখাচ্ছেন যে, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ব্যক্তিগতভাবে কতটুকু পর্যায়ে নিজেকে আল্লাহ তায়ালার প্রতি স্বেচ্ছায় উৎসর্গ করেছেন। যখনই ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পুত্রকে কুরবানী করার জন্য আল্লাহ বলেছেন সেই মূহুর্তেই ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আল্লাহর আদেশ অনুসরণ করতে দ্বিধা করেননি। এটা ছিল কেবল ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের নিকট পরিক্ষা নয় এটা সকল মুসলিম কে আল্লাহ বলছেন মুসলিম হতে হলে কি ভাবে নীজেদের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
2) "আল্লাহ্ ইব্রাহিমকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছেন"
ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ঐ মাত্রায় আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলেই আল্লাহর তাঁকে বন্ধু বানিয়েছেন। তার আত্মত্যাগের ইঙ্গিত হল কিভাবে আল্লাহতায়ালার কাছাকাছি যেতে হবে।
এই ঈদুল আযাহের শিক্ষাই হলো সকল মুসলমানদের হৃদয়ের মাঝে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য লালন করা।
তাই প্রতিবছর আমাদের কাছে ঈদুল আযাহ আসে আনুষ্ঠানিক ভাবে আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণকে স্মরন করে দিতে। পশু কোরবানীর মাধ্যমে একটি আনুষ্ঠানিক উপায়ে আমাদেরকে একনিষ্ঠ করতে। .==============
কিছু কথা।
যারা এই কেরবানীকে পশু হত্যার সাথে তুলনা করে এর ইসলামিক তাৎপর্যের অপব্যাখ্যা দেয় বুঝে কিংবা না বুঝে তারা Fallacy করে।
প্রথম Fallacy হচ্ছে শাক সব্জি, মাংস সবই মানুয়ের খাদ্য। এবং বৈজ্ঞানিক মতে সবার প্রান আছে। মুরগীও একটি প্রানী। এরা কিন্তু মেগডানালড, KFC কে প্রানী হত্যার জন্য দোষারোপ করেনা।
দ্বিতীয় fallacy করে কোরবানীর মর্মার্থ না বোঝার কারনে।
ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লার তায়ালা মানুষকে তাঁর সৃষ্টির সেরা হিসাবে সর্বোচ্চ স্হান দান করেছেন এবং এই বিশ্বের সকল কিছুর উপর মানুষকে তাঁর favour দান করেছেন।
“নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর বিশেষ আনুকুল্যসমূহ ( Special favors) দান করেছি।”(১৭:৭০)।
এই, “মর্যাদা”, “উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি”, “বিশেষ আনুকুল্যসমূহ ( Special favors) দান করেছি” , কথাগুলো হতেই বোঝা যায় মানুষকে “আশরাফুল মাখলুকাত” তথা সৃষ্ট প্রায় সকল কিছুকেই মানুষের প্রতি অবনত (৩৮:৭৫) তথা মানুষের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
so Eid Ul Adha is not festival the way it is understood. This is the day for Muslims to endorse their submission at Allah like the Prophet Ibrahim (PBUH) showed us.
এই আল্লাহতায়াল নৈকট্য লাভের দৃষ্টান্তের মাঝেই ইসলামের মূল নির্যাস নিহিত। ঈদ-উল-আযার প্রকৃতার্থতা। ঈদ-উল-আযহা এর message টি বুঝতে হলে মুসলমানদের অবশ্যই সাঈদনা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের আধ্যাত্মিক নিষ্ঠা কে অনুধাবন করতে হবে অন্তর দিয়ে।
আল্লাহ তায়ালা তাঁকে খলিল হিসাবে গ্রহন করেছেন যার অর্থ 'আল্লাহর বন্ধু'।
আল কোরানের সূরা আন-নাস এর ১২৫ নং আয়াতটি পর্যালোচনা করলেই ঈদুল আযহার সূর ব্যান্জনা অনুভব করা সহজ হয়ে যাবে। আসুন আমরা পড়ি এবং আয়াতটি বুঝতে চেষ্টা করি।
" যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (৪:১২৫)।
এই আয়াতটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আমাদেরকে অনুধাবন করতে হবে যার ব্যাপকতা আমাদের ইমানের অবকাঠামো।
১) “যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার?”
এখানে ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম নীজেকে আল্লাহর প্রতি তথা খুদিকে কতটুকু আল্লাহর প্রতি উৎসর্গ করেছেন আল্লাহতায়ালা স্বয়ং তার জলন্ত সাক্ষ্য দিচ্ছেন আর সেই আত্মসর্মপনের গভীরতার প্রতি সকলের দৃষিট আকর্ষন করছেন। আমরা জানি ইসলামের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে শান্তি কিন্তু ইসলামের অন্তর্নিহিত অর্থ হলো আল্লাহর ইচ্ছার নিকট আমাদের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, সম্পূর্ন রুপে আত্মসমর্পণ করা। যারা আল্লাহর ইচ্ছায় নিজেদেরকে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে, তারাই মুসলমান। আমরা যা কিছু করি বা আকাঙ্ক্ষা করি বা মনে করি সকল কিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এটাই ইসলামের মূল বক্তব্য।
আল্লাহ তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণের একটি সূচক মাত্রা হিসাবে ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে দিয়ে সমগ্র মানব জাতিকে শীক্ষা দিচ্ছেন। মানুষকে কতটুকু মাত্রায় আল্লাহ প্রতি নিজেকে আত্মসমর্পনের ইমান থাকতে হবে তার তার উদাহরণ ইব্রাহীমের আলাইহিস সাল্লামের অত্মত্যাগ যা এই ঈদুল আযহা।
আল্লাহ আমাদের দেখাচ্ছেন যে, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ব্যক্তিগতভাবে কতটুকু পর্যায়ে নিজেকে আল্লাহ তায়ালার প্রতি স্বেচ্ছায় উৎসর্গ করেছেন। যখনই ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পুত্রকে কুরবানী করার জন্য আল্লাহ বলেছেন সেই মূহুর্তেই ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আল্লাহর আদেশ অনুসরণ করতে দ্বিধা করেননি। এটা ছিল কেবল ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের নিকট পরিক্ষা নয় এটা সকল মুসলিম কে আল্লাহ বলছেন মুসলিম হতে হলে কি ভাবে নীজেদের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
2) "আল্লাহ্ ইব্রাহিমকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছেন"
ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ঐ মাত্রায় আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলেই আল্লাহর তাঁকে বন্ধু বানিয়েছেন। তার আত্মত্যাগের ইঙ্গিত হল কিভাবে আল্লাহতায়ালার কাছাকাছি যেতে হবে।
এই ঈদুল আযাহের শিক্ষাই হলো সকল মুসলমানদের হৃদয়ের মাঝে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য লালন করা।
তাই প্রতিবছর আমাদের কাছে ঈদুল আযাহ আসে আনুষ্ঠানিক ভাবে আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণকে স্মরন করে দিতে। পশু কোরবানীর মাধ্যমে একটি আনুষ্ঠানিক উপায়ে আমাদেরকে একনিষ্ঠ করতে। .==============
কিছু কথা।
যারা এই কেরবানীকে পশু হত্যার সাথে তুলনা করে এর ইসলামিক তাৎপর্যের অপব্যাখ্যা দেয় বুঝে কিংবা না বুঝে তারা Fallacy করে।
প্রথম Fallacy হচ্ছে শাক সব্জি, মাংস সবই মানুয়ের খাদ্য। এবং বৈজ্ঞানিক মতে সবার প্রান আছে। মুরগীও একটি প্রানী। এরা কিন্তু মেগডানালড, KFC কে প্রানী হত্যার জন্য দোষারোপ করেনা।
দ্বিতীয় fallacy করে কোরবানীর মর্মার্থ না বোঝার কারনে।
ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লার তায়ালা মানুষকে তাঁর সৃষ্টির সেরা হিসাবে সর্বোচ্চ স্হান দান করেছেন এবং এই বিশ্বের সকল কিছুর উপর মানুষকে তাঁর favour দান করেছেন।
“নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর বিশেষ আনুকুল্যসমূহ ( Special favors) দান করেছি।”(১৭:৭০)।
এই, “মর্যাদা”, “উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি”, “বিশেষ আনুকুল্যসমূহ ( Special favors) দান করেছি” , কথাগুলো হতেই বোঝা যায় মানুষকে “আশরাফুল মাখলুকাত” তথা সৃষ্ট প্রায় সকল কিছুকেই মানুষের প্রতি অবনত (৩৮:৭৫) তথা মানুষের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
so Eid Ul Adha is not festival the way it is understood. This is the day for Muslims to endorse their submission at Allah like the Prophet Ibrahim (PBUH) showed us.
Comments
Post a Comment